ছোট্ট দুই যমজ বোনের ঠিকানা এখন মুম্বাই এর একটি হাসপাতাল। কিন্তু কেন? জানতে হলে পড়ুন
নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা ছেড়ে চলে গেলেও ছাড়তে পারেনি হসপিটালের চিকিৎসক, নার্সরা। তাই এদের পরম স্নেহে আর আদরে হেসে খেলে বেড়াচ্ছে ওরা। ওরা হল ঋদ্ধি আর সিদ্ধি। মুম্বইয়ের ওয়াডিয়া হাসপাতালে গেলেই দেখতে পাবেন এই দুই যমজ বোনকে। হসপিটালের সকলের এখন মধ্যমনি এই দুই ফুটফুটে। কিন্তু এদের জীবন কাহিনী শুনলে মন ভা্রাক্রান্ত হয়ে উঠবে।
দেখলে আলাদা করার উপায় নেই। একই দেখতে। প্রাণটাও যেন একই। একে আপরকে ছেড়ে থাকতে পারে না। থাকবেই বা কি করে। জীবনের তিনটি বছর ওরা যে এক সাথেই কাটিয়েছে। মুম্বইয়ের ওয়াডিয়া হাসপাতালে গেলে চোখে পরবে দুই ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ের। হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে দুই যমজ বোন। কিন্তু এক জটিল শারীরিক অবস্থা নিয়ে এরা জন্মায়।দুই বোনেরই শরীরে অংশ ছিল জোড়া। মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত গ্রামের দিনমজুর পরিবার। তাই চিকিৎসা ব্যায়ভার বহন করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা এদের মুম্বইয়ের ওয়াডিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। অপারেশনের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হয়। আলাদা করা হলেও তাদের শরীরে কিছু সমস্যা থেকে যায়। যদিও এখন তারা অনেকটাই সুস্থ। হসপিটালের সিইও এদের নাম রাখে ঋদ্ধি আর সিদ্ধি।
*প্রতি মুহূর্তে ‘হাইলাইস বেঙ্গল’ এর নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ Like করুন।
সেই ছোট্ট বয়েসে এই হসপিটালে এসে ছিল এরা। এখন ওদের বয়েস তিন বছর অতিক্রান্ত। বাবা মা আর যোগাযোগ রাখেনি। এখন এই হসপিটালই এদের ঠিকানা। নার্স, আয়া, হাসপাতালের কর্মচারীরা তার আত্মীয়। তারা সকলেই ঋদ্ধি আর সিদ্ধিকে সন্তান স্নেহে মানুষ করছেন। চিকিৎসকরাও তাদের খুব ভালোবাসে। তাদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যাবতীয় জিনিস সবাই মিলে কি্নে দেন। হাসপাতালের মধ্যেই তাদের জন্য একটা আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালের সুপার জানান, ঋদ্ধি আর সিদ্ধিকে পেয়ে তারা প্রত্যেকেই খুব খুশি।
দেখুন ঋদ্ধি আর সিদ্ধির বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি