বিদ্যালয় পরিদর্শকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। মৃতের নাম তাপস মণ্ডল (২৯)। তিনি কলানবগ্রাম সার্কেলের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। মেমারির রবীন্দ্র নগরে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখানেই শনিবার সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুরিয়া থানার পূর্ব সিমলিয়াতে। বিয়ের ১১ মাসের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকের এই আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বাদুরিয়ার চাঁদপাড়ার এলাকা লাবনি মণ্ডলের সঙ্গে তাপস মণ্ডলের বিয়ে হয়। লাবনিদেবীও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মেমারি থানার পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের বাবা তারক মণ্ডল এদিন অভিযোগ করেন, স্ত্রীর সাথে অশান্তির কারণেই ছেলে আত্মহত্যা করে। তিনি দাবি করেন, “তাঁর ছেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানোর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ভিডিও কল করে বৌমাকে হ্যাঙ্গিং এর আগের মুহুর্তের দৃশ্য দেখিয়েছিল।” তিনি আরো অভিযোগ করেন, বৌমা বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতো। মাঝে মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে আসতো। তবে এলেও বেশি দিন থাকতো না। আবার বাবার বাড়ি চলে যেত। তার অভিযোগ, ‘বৌমার বিবাহ বর্তিভূত সম্পর্ক ছিল অন্য একজনের সাথে। যেটা তাপস মেনে নিতে পারে নি।
মেমারি পুলিশ তাপস বাবুর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। স্ত্রীর প্রতি অভিমানে তাপস মণ্ডল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার, এলাকাবাসী, সহকর্মী ও শিক্ষক মহল। তাপস বাবুর সহকর্মী অনির্বাণ দত্ত বলেন , শুক্রবার কর্মস্থলে শেষ দেখা হয়েছিল। তবে এত ভালো মনের মানুষটি হঠাৎ এভাবে চলে যাবে আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক লুতুব আলি জানিয়েছেন, অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তাপস বাবু। সব সময় হাসিমুখ। সুন্দর ব্যবহার। মানুষটির না থাকার বিষয়টি আমরা মানতে পারছি না।
এই ঘটনায় সকলেই শোকাহত।