প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান , ১৪ আগষ্ট
অ্যাসিড ছুঁড়ে এক বধূ ও তাঁর নাবালক পুত্র কে জখম করার অভিযোগে বধূর স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর পরিবারের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কান্দরা গ্রামে । অ্যাসিড হামলায় জখম বধূ ও তাঁর ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় কেতুগ্রাম স্বাস্থকেন্দ্রে ।নির্যাতিতার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নুরশেদ শেখ ও চয়ন শেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ।কান্দারা গ্রামেই তাদের বাড়ি । বুধবার ধৃতদের পেশ করাহয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে । বিচারক দুই ধৃতের তিনদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , বছর ১০ বয়সী পুত্রকে নিয়ে কান্দারা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করেন অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত বধূ । সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়ির দোতলা ঘরে শুয়েছিলেন বছর ৩০ বয়সী ওই বধূ। বধূর অভিযোগ, ওইদিন রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দোতলার ঘরের জানলা দিয়ে তাঁদের গায়ে অভিযুক্তরা অ্যাসিড ছোঁড়ে। বধূ জানিয়েছেন ,অ্যাসিডে পুড়ে যায় তাঁর পেট, পা ও হাঁটুর কিছু অংশ। পুড়েযায় ছেলের শরীরেরও কিছু অংশ । পরিবারের লোকজন ওই রাতেই দুজনকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে ।
কেতুগ্রাম থানায় দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা বধূ জানিয়েছেন , বছর ১৫ আগে কান্দারা মোল্লাপাড়ার যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় । তাঁদের পুত্র সন্তান ১০ বছর বয়সে পা রাখার পরেও গত আট মাস আগে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে । আক্রান্ত বধূ জানিয়েছেন তাঁর স্বামী কান্দারা গ্রামেই দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর বাপের বাড়িতেই থাকতো। নির্যাতিতা বধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর পরিবারের লোকজনই রাতের অন্ধকারে তাঁদের গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়েছে । নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা নুরশেদ শেখ ও এক আত্মীয় চয়ন সেখকে গ্রেফতার করে । যদিও ধৃতরা এদিন দাবি করেছেন তারা নির্দোষ । মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে ।
ছবি: পথিকৃৎ দাস বৈরাগ্য