লাঠির আঘাতে গাড়ি চালকের হাতে খুন হলেন বর্ধমানের চিকিৎসক সুব্রত নাগের স্ত্রী মৌসুমী নাগ। গুরুতর জখম ঐ চিকিৎসকও। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্ধমানের খোসবাগান এলাকার তুলা লেনের ঘটনা। ঘটনায় চাঞ্চল্য। গ্রেপ্তার চালক তপন দাস।
জানা গেছে, প্রায় ২৬ বছর ধরে চিকিৎসক সুব্রত নাগের গাড়ির চালকের কাজে নিযুক্ত ছিল বর্ধমানের বাবুর বাগের বাসিন্দা তপন দাস।
বাড়ির পরিচারিকা জবা পরামানিকের বক্তব্য, তপন বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। বাড়ির কেয়ারটেকার কে তাড়িয়ে দেয়। তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ভয়ে সে লুকিয়ে পড়েছিল। তিনি আরো জানান, বেতন নিয়ে ডাক্তার এবং ডাক্তারের স্ত্রীর সঙ্গে তপনের বচসা বাধে। মাস শেষ হওয়ার আগেই বেতন দাবী করে সে। বচসা চলাকালীন তপন লাঠি দিয়ে প্রথমে সুব্রতবাবুকে মারধর শুরু করে। তাকে আটকাতে আসলে স্ত্রী মৌসুমীর মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মৌসুমী দেবী। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তাদের হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৌসুমীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে চেষ্টা করছে, শুধু কি বেতনের টাকা নিয়ে বচসা জেরে এই খুন, না কি অন্য কোন বিষয় লুকিয়ে আছে। জানতে পারা গেছে, এর আগেও টাকা নিয়ে অশান্তি হয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন তাকে দিয়েই চালকের কাজ করাচ্ছিলেন তারা। অন্য কোন আক্রোশ ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা চলছে। যে মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় সেটা কি তপনই আগে থেকে এনে রেখেছিল? এসব প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনার পর। ঘটনার পর বর্ধমান সদর থানার আই সি পিন্টু পাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পুলিশ মনে করছে, সুব্রতবাবু সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক বিষয় পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি ধৃত তপন দাসকেও জেরা করা হবে।