প্রসূন সামন্ত, বর্ধমানঃ প্রথমে মারধোর। পরে আর্থিক জরিমানার নিদান মোড়লদের। দিতে অস্বীকার করায় আবার মারধোর। ফলে প্রাণে বাঁচতে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ওই মহিলা। ঘটনাটি কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে নয়, বর্ধমান শহর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হাটশিমুলে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকায় সম্প্রতি জলে ডুবে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। গ্রামে ক্লাবে বসে সালিশিসভা। সেখানে সন্দেহের বশে এলাকার বাসিন্দা রাসমনি মালিককে ডাইনি বলে চিহ্নিত করা হয়। এখানেই থেমে না থেকে তারা অন্ধবিশ্বাসে তারা ছোটে এক ওঝার কাছে। ঠিক হয় সেই ওঝাকে এনে ঝাড়ফুঁক করা হবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার জন্য সমস্ত খরচ তাকে দিতে চাপ দেওয়া হয়। গরীব দুস্থ পরিবারের এই মহিলা টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় মারধোর। তখন পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে । এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর বাড়ি ফিরে এলে তাকে ফের মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই সে মাসখানেক আতঙ্কে গ্রামছারা। প্রশাসনকে জানিয়েও এতদিন কোনও ফল হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মহিলাকে ঘরে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু রাসমনি দেবীর আতঙ্ক এখনো কাটেনি।