নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বর্ধমানে শিশু পাচারের ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মঙ্গলবার বেশ কিছু নার্সিংহোম অভিযান চালানো হয়। নার্সিংহোম গুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন জেলা প্রশাসান ও স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন দুটি নার্সিংহোম সিল করে দেওয়া হয়, শোকজ করা হয়েছে আরও দুটি দুটি নার্সিংহোমকে। নার্সিংহোমের ৩ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
এদিন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জেলা শাসক ড. সৌমিত্র মোহন ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় প্রাথমিক ভাবে চারটি নার্সিংহোমে আভিযান চালান। যা তথ্য উঠে এলো তা রীতিমতো আতঙ্কের। কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্লাড, মেডিসিন, কথাও পুরুষ ওয়ার্ডে রয়েছে প্রসূতি ও নবজাতক। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রেরও মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। সবকটি নার্সিংহোমেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অভিযোগ, দালালরা কমিশনের ভিত্তিতে রোগীদের বুঝিয়ে এই সব নার্সিংহোমে ভর্তি করে। এদিন বর্ধমানের সিমস ও নবাবহাট নার্সিংহোম সিল করা হয়। অন্যদিকে নবাবহাটের দিশান ও অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমকে শোকজ করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এই অভিযান লাগাতার চলতে থাকবে।
প্রতি মুহূর্তে ‘হাইলাইস বেঙ্গল’ এর নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ Like করুন।