সিপিএম এর দাপুটে নেতা তথা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আইনুল হক কে বহিষ্কারের পর থেকেই তার তৃনমূলে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শাসক দলের সাথে তার ঘনিষ্টতা বাড়ে। গত মাস তিনেক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না বলে খবর। তাই মনে করা হচ্ছে শাসক দলে যোগ দেওয়ার আগেই তাকে বহিষ্কার করলো দল। শনিবার বর্ধমানে সিপিএম এর সদর দপ্তরে বৈঠকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্য কমিটিও তার অনুমোদন করে। সি পি আই (এম)এর বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আইনুল হক বহিস্কার প্রসঙ্গে বলেন, গুরুতর পার্টি বিরোধী কার্যকলাপ এবং পার্টির মর্যাদার পক্ষে গুরুতর হানিকর কাজের অপরাধে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে আইনুল দলের কি ধরনের সম্মানহানিরকর কাজ করেছেন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিলেও কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,কেউ যদি পুলিশের চর বৃত্তি করেন , শত্রু পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের খবর পাচার করেন এগুলিই পার্টির মর্যাদার পক্ষে হানিকর কাজের মধ্যে পড়ে।
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা ২০১৮ সালে বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনে প্রাক্তন এই পুরপ্রধান তৃনমূল শিবিরে থেকে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন। যদিও বর্ধমান দক্ষিণের তৃনমূলের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় আইনুল হকের তৃনমূলের যোগদান প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।
নিচে দেওয়া হল তৃনমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য-