নিউজ ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় ফার্স্ট ক্লাস ডিগ্রি পেয়েছিলেন মিতা মণ্ডল। বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রী। দুই দাদা ব্যবসা করেন। খুব অভাবের মধ্যেও কঠিন লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়েছিলেন মিতা। পড়াশোনার খরচ ও হাত খরচের জন্য সেলাই করতো। পাড়ার কিছু বাচ্ছা ছেলে মেয়েকে পড়াতো। ২২ শে এপ্রিল ২০১৬ ভালবেসে উলুবেড়িয়ার রাণা মণ্ডলের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসেই মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই মেধাবী ছাত্রীর মৃতদেহ।
দশমীর দিন মিতার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, মিতা আত্মহত্যা করেছেন। বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মিতার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরই তারা থানায় অভিযোগ করে। শ্বশুরবাড়ির দাবি, মিতা আত্মহত্যা করেছেন। মিতার ঘটনা সবার সামনে আনার জন্য তার বন্ধুরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা পোস্ট করেছেন। এখানে তারা অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। মিতার কোণও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মিতার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ফোলা রয়েছে। নাকে রক্তের দাগ। বন্ধুরা জানিয়েছেন, মিতা বি এড করতে চেয়েছিলেন। মিতার বাপেরবাড়ির লোকজন সঠিক তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে আবেদন করেছেন। অভিযুক্ত রাণা মণ্ডল এবং তার বাবা দ্বিজেন্দ্রনাথ মণ্ডল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মা কল্পনা মণ্ডল ও ভাই রাহুল মণ্ডল পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।