রাজকুমার ঘোষ, হাইলাইটস বেঙ্গল.কম : স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার। স্বপ্ন ছিল স্বাস্থ্য সেবিকা হয়ে মানুষের সেবা করার। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। মনের ইচ্ছা পূরণ হবে না এই ভেবে বেছে নিলো আত্মহত্যার পথ। অকালে চলে গেল আরো এক কন্যাশ্রী। বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
লক্ষীরানী দাস। বি.এ প্রথম বষের এই ছাত্রী হার মানলো দারিদ্রতার কাছে। বাবা দিলীপ দাস পেশায় দিন মজুর। তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার। ইতিমধ্যে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। শেষ সম্বল ৩ কাঠা জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন মেজো মেয়ে লক্ষীর বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বেকে বসে লক্ষী। বিয়ে না করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। নার্সিং ট্রেনিং নিতে চেয়েছিলো। ইচ্ছা ছিল মানুষের সেবা করার। কিন্তু আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে সেই ইচ্ছা পূবণ করতে পারেনি পরিবার। এমনকি পড়াশোনার খরচ আর চালাতে পাবরে না বলেও জানানো হয় লক্ষীকে। ইতিমধ্যে সমন্ধ দেখে আগামী মাঘ মাসে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিল বাবা দিলীপ দাস। একরোখা মেয়েটি জানিয়ে দিয়েছিলো এখন বিয়ে কোনো ভাবেই করবে না। লেখাপড়া চালিয়ে যাবে সে।পবিবার সূত্রে জানা গেছে এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। অবশেষে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতি হয় বলে পবিবার জানিয়েছে। এই ঘটনায় পরিবার সহ এলাকায় বিষাদের ছায়া।
নিচে ভিডিও তে দেখুন পরিবার কি বলছে-