নিউজ ডেস্ক: মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। বেশ কিছু পরিবার রয়েছে যারা দীর্ঘ সময় ধরে সিপিএমের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন ওই পরিবারের বর্তমান সদস্যরা সিপিএম কেই ভোট দেয়। অথচ এই পরিবার গুলির কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ শাহাবুদ্দিন মন্ডল।। মূলত রং না দেখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবাই পায়। সেই কাজটি করেছেন শাহাবুদ্দিন। তাই এই পরিবার গুলি এখন তৃণমূলের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গরিব পরিবার গুলি সরকারি সুবিধা পেয়ে ভীষণ খুশি।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সেলিমাবাদ। এই এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এখানে ২৫ টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। এই ২৫ টি পরিবারই রাজ্য সরকারের বাংলার ঘর প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন।তার মধ্যে আটটি সিপিএমের পরিবার। সিপিএম পরিবারের সদস্য ভানুরাম হাঁসদা ও তার ভাই লক্ষীরাম হাঁসদা জানিয়েছেন, বাবা জ্যাঠারা সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তারাও সিপিএম করেন। কিন্তু রাজ্য সরকার থেকে আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। টাকা পেয়ে গরিব এই পরিবার ভীষণ খুশি।
সেলিমাবাদ দয়ের পাড়ায় ২৫ টি , বাস্কে পাড়ায় ৪০ টি বেত্রাগড় ও তার সাথে সাথে ওরাং পাড়ায় ১৫ টি করে আদিবাসীদের পরিবার রয়েছে। তারাও এই প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন। এতদিন মাথার আচ্ছাদন ঠিক ছিল না। কষ্ট করেই দিন কাটিয়েছেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পাকা বাড়ির জন্য টাকাতে রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
জামালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ শাহাবুদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বদলা নয় বদল চাই। তাই রং দেখে নয় । প্রকৃত প্রয়োজন যাদের তাদেরকেই সরকারি সুবিধা তারা পৌঁছে দিচ্ছেন।