এক ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে।।
হাওড়া শিবপুরের বাসিন্দা সব্যসাচী দত্ত। কলকাতায় বড় বাজারে তার ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার তার বন্ধু নাজবীর সিং ও দোকানের কর্মী পার্থ সান্যালকে সঙ্গে নিয়ে বের হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তারই গাড়ির চালক। বিকাল তিনটে নাগাদ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছান বলে জানা গেছে।
রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল । নাজবীর সিং এর কথায় জানা গিয়েছে ,ছাদে রান্না যখন চলছিল তখন সেখানেই ছিল সব্যসাচী। তখন রাত সাড়ে আটটা হবে। সেই সময়ে কেউ নিচে ডাকছে বলে জানায় গাড়ির চালক। সেই সময় সব্যসাচী নিচে নেমে আসে । এর কিছু পরেই গুলির আওয়াজ তার কানে আসে সঙ্গে সব্যসাচীর চিৎকার তৎক্ষণাৎ নেমে যান নিচে নাজবীর। তিনি জানিয়েছেন, নিচে নেমে দেখেন চার জন দুষ্কৃতী এলোপাতাড়ি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছে সব্যসাচীকে। আটকাতে গেলে তাকে আক্রমণ করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনিও জখম হন এই ঘটনায়। আনা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সব্যসাচী মণ্ডলকে মৃত বলে জানান।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । ব্যবসায়ীর দেহের একাধীক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে ।
এই খুনের ঘটনায় সব্যসাচী মন্ডল এর বাবা দেব কুমার মণ্ডল তার ভাই গৌরহরি মণ্ডল বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । এই ঘটনায় তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের দুই ছেলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। পরিকল্পনা করে লোক দিয়ে তারা খুন করেছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি তার সঙ্গে আসা রাধুনী, গাড়ির চালক এবং বন্ধু জড়িত থাকতে বলে তার সন্দেহ। এমনটাই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন।
তার আরো অভিযোগ, হাওড়া শিবপুর এর বাড়িতে দিন কয়েক আগে তার ছেলে সব্যসাচীকে খুন এর উদ্দেশ্যে বাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরেছিল তার ভাই গৌড় হরি।
মৃতের মা রত্না মন্ডল দোষীদের ফাঁসি দাবি জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।।