বয়স প্রায় ৭০। সন্তানেরা দেখে না। ভিক্ষা করে যেটুকু পায় তাই দিয়ে দিন গুজরান। তার শেষ সম্বল একটি ব্যাগ এদিন হারিয়ে ফেলেন। তাতে ছিল হাজার পাঁচেক টাকা ও কয়েক ভরি সোনা রূপার গহণা এবং খুচরো পয়সা। অবশেষে ফিরে পেলেন। ফিরে পেয়ে কি বললেন দেখুন–
পূর্ব বর্ধমানের কামনাড়া বাসিন্দা সন্ধ্যা পরামানিক। নিজের সন্তানরা দূরে ঠেলে দিয়েছে। ভিক্ষা করে জীবন কাটান। এদিন তিনি বর্ধমান স্টেশন বসেছিলেন প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে। ট্রেন আসতেই সন্ধ্যাদেবী তার সেই ব্যাগটি প্ল্যাটফর্মে ফেলে রেখেই ট্রেনে চড়ে বসেন। ছোট্ট এই ব্যাগেই ছিল জীবনের জমানো সম্পদ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেই ব্যাগের সন্ধান পাননি সন্ধ্যাদেবী। কিছু ভালো মানুষ যে এখনো পৃথিবীতে আছে তা প্রমান করলেন দুই রোলার চালক । নাম গৌর ও আসরফ। এদিন সন্ধ্যাদেবীর শেষ সম্বল ফিরিয়ে দিলেন তারা। গৌর কেশ ও সেখ আসরফ এদিন জানান , তারা প্রতিদিনের মতো এদিনও বর্ধমান স্টেশনে থেকে কাজের জন্য মেমারিতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় হঠাৎই তাদের নজরে আসে প্ল্যাটফর্মের বসার বেঞ্চে পড়ে আছে একটা ব্যাগ । গৌর ও আসরফ দুজনেই নিশ্চিত হন ব্যাগটি সেই বৃদ্ধারই হবে যাকে তারা প্ল্যাট ফর্মে তাদের পাশেই বেঞ্চে বসে থাকতে দেখেছিলেন । ব্যাগটি নিয়ে বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেবার জন্য ওইদিন তারা সারা প্ল্যাট ফর্ম খোঁজ করেন। কিন্তু খুজে পাননি । ব্যাগ খুলে তারা দেখতে পান তাতে হাজার পাঁচেক টাকা ও কেয়েক ভরি সোনা রূপার গহণা এবং খুচরো পয়সা রয়েছে। এরপর ব্যাগে রাখা একটি ছোট খাতা থেকে ফোন নম্বর পেয়ে ওই বৃদ্ধার সাথে যোগাযোগ করেন তারা। তারপর বর্ধমান স্টেশনে এসে তার সব কিছু ফিরিয়ে দেয়। হারানো সম্পদ এইভাবে ফিরে পাবেন তা স্বপ্নেও ভাবেন নি তিনি। সব কিছু ফিরে পেয়ে খুশী সন্ধ্যাদেবী। পাশাপাশি ওই বৃদ্ধার হাতে তার সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি এই দুই সৎ যুবক।
*** ‘হাইলাইস বেঙ্গল’ এর নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ Like করুন।
আরও খবর দেখতে google গিয়ে ক্লিক করুন– www.highlightsbengal.com