নিজউ ডেস্কঃ একের পর এক রেল দুর্ঘটনা। কতটা নিরাপদ সাধারণ মানুষ? উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিরা। একের পর এক রেল বাজেট। সঙ্গে নতুন নতুন চমক। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও জীবন নিয়ে টানাটানি সাধারণ মানুষের। রেলমন্ত্রীর রেল বাজেটের পর পর গোটা দেশ যখন তার ময়না তদন্তে ব্যস্ত, তখনই বর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দা পরেশ গাইন যাত্রী সুরক্ষায় দিশা দেখাচ্ছেন। তিনি আবিষ্কার করলেন নয়া ফর্মুলা। ইতিমধ্যেই তার প্রজেক্ট তৈরি। এই প্রজেক্টে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানোর সম্ভব।
পেশায় লেদ ব্যবসায়ী।বড়শুলে বাজারে রয়েছে তার লেদের দোকান। সেখানেই সারাদিন লোহায় হাতুড়ি পেটানোর মাঝে চলে গবেষণা। মাধ্যমিক পাস করার পর একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ইলেকট্রিক নিয়ে পড়াশোনা করেন। নিজের বুদ্ধিতে রেলের যুগান্তকারী কয়েকটি আবিষ্কার করেন। গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনার পর এই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কিছু করার নেশা চাপে। ১৯৮৩ সালে আবিষ্কার করেন অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস। পরেশ বাবুর দাবী, এই ডিভাইসের মাধ্যমে একই ট্রাকে দুটি ট্রেন আসলে তা অটোমেটিক দাড়িয়ে যাবে।সিগন্যালও রেড হয়ে যাবে। এছাড়াও রেল ট্রাকে কোন রকম বিস্ফোরক থাকলে বা ক্র্যাক থাকলে তা ইন্ডিকেট করবে। তার এই আবিষ্কার যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াবে বলে তার দাবি। তিনি এই প্রজেক্ট পাঠাতে চলেছেন লক্ষ্ণৌ রেল ভবনে। চাকরি বা অর্থের বিনিময়ে নয়, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্যই তার প্রজেক্ট রেলকে দিতে চান পরেশ বাবু।
**প্রতি মুহূর্তে ‘হাইলাইস বেঙ্গল’ এর নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ Like করুন।