সৌমিক ভট্টাচার্য, বর্ধমানঃ এই কালির কাহিনী একটু অন্য রকম। কালীপূজোর অমাবশ্যা তিথিতে পুজো হলেও বিসর্জন করা হয় প্রায় পাঁচ মাস পর। ফাল্গুন মাসের শেষ রবিবার। বর্ধমানের তালিতে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজোয় রয়েছে এমনই রীতি।
জাঁকজমকের সঙ্গে পূজো হয় সিদ্ধেশ্বরী মায়ের। পুজো ঘিরে আনন্দ উৎসবে মাতেন এলাকা সহ দূর দুরান্তের মানুষেরা। গ্রামে রয়েছে দেবীর মন্দির। সেখানেই অধিষ্ঠিত প্রায় ১৪ ফুট উচ্চতার এই দেবী। বহু বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো। ঐতিহ্য আর পরম্পরাকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন এলাকার মানুষ।
তালিতে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের রয়েছে অনেক কাহিনী । কালীপুজোর সময় মধ্যরাতে মায়ের চক্ষু প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর মন্দিরে ঘট স্থাপন করা হয়। তারপর শুরু হয় পূজা আর্চনা। পুজোর সময় কোনো হোম যজ্ঞ ও পুষ্পাঞ্জলিও হয় না। পুজোর পর থেকে দেবী মন্দিরেই থাকেন। প্রতিদিন হয় নিত্য সেবা। বিসর্জন করা হয় প্রায় পাঁচ মাস পর ফাল্গুন মাসের শেষে। শুধু তাই নয়,বিসর্জনের শোভাযাত্রা ঘিরেও রয়েছে অভিনবত্ব। এখানে দেবীর উদ্দেশ্যে বাতাসা ছাড়াও চকলেট, বিস্কুট, মিষ্টান্ন সহ বিভিন্ন সামগ্রী হরিলুট দেওয়া হয়। এই সময় উপস্থিত থাকে এলাকা সহ দূরদূরান্তের কয়েক হাজার মানুষ।
*** প্রতি মুহূর্তে ‘হাইলাইস বেঙ্গল’ এর নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ Like করুন।