নিউজ ডেস্ক: কখনো মোদি ভো-কাট্টা আবার কখনো মমতা ভো-কাট্টা। সারাদিন ধরে এই যুদ্ধই চলেছে আকাশে। তবে বাস্তবে নয়। ঘুড়িতে যুযুধান দুপক্ষের কাটাকাটি খেলা চলেছে বর্ধমানের আকাশে।
বর্ধমানে ঘুড়ি উৎসব। বর্ধমানের আকাশে তাকালে শুধুই রংবেরঙের ঘুড়ি। ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত আট থেকে আশি। তবে ঘুড়ির বাজারেও রাজনীতির ছোয়া। দোকান বিক্রি হচ্ছে মোদি ও মমতার ঘুড়ি। হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে এই দু রকম ঘুড়ি। অনান্য ঘুড়ির পাশাপাশি মোদি ও মমতার ছবি দেওয়া ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। এই দুই প্রতিপক্ষ ঘুড়ির দোকানগুলিতে এক হয়ে গেছে। পাশাপাশি বা এক সাথে রাখা রয়েছে তাদের ছবির ঘুড়ি।
কাগজের ঘুড়ির বাজার নেই। বাজার দখল করেছে প্লাস্টিকের ঘুড়ি। কাগজের ঘুড়ির খরচ অনেক বেশি। দাম বেশি। তুলনায় অনেক কম দামে আমেদাবাদ থেকে আসা প্লাস্টিকের ঘুড়ির বাজার চাঙ্গা। তবে বিক্রি আগের থেকে অনেক কম বলে জানাচ্ছেন ঘুড়ি বিক্রেতারা। প্লাস্টিক ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ টাকায়। তবে আগের মতো পেটকাটি চাঁদিয়াল নেই । এখন বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুড়ি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের ছবি দেওয়ার পাশাপাশি কাটুন, বিভিন্ন ব্যঙ্গচরিত্র সহ বিভিন্ন প্রিন্টিংয়ের ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে। এখন সূর্যমুখী, ফানুষ, রকেট, এই বিভিন্ন নামে বিভিন্ন আকৃতির ঘুড়ি চলছে। কাচের মাঞ্জা দেওয়া সূতো বিক্রি কমেছে, তুলনায় সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের সুতো। লাটাইও হয়ে গেছে প্লাস্টিকের।
মকর সংক্রান্তির দিনে বর্ধমান মহারাজা ঘুড়ি উড়াতেন বলে শোনা যায়। আর সেই থেকেই এই দিনটিতে ঘুড়ি উৎসব হিসেবে পালন করেন বর্ধমানবাসী। প্রায় প্রতিটি ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত সকলে। সঙ্গে চলে গান ও খাওয়া দাওয়া। সারাদিন ধরে আনন্দ।
ঘুড়ি ব্যবসায়ী নাজির হোসেন জানালেন, অনান্য ঘুড়ির পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহের ছবি দেওয়া এবং মা মাটি মানুষ লেখা মমতা ব্যানার্জীর ছবি দেওয়া ঘুড়ি প্রচুর বিক্রি হয়েছে।
আরো আপডেট খবর জানতে হাইলাইটস বেঙ্গল ফেসবুক পেজ লাইক করুন।