মানব শরীরের পেশী শিরা ধমনী অস্থি যেমন থাকে ঠিক তেমনই কালো ব্যাসাল্ট পাথরের ছ ফুটের অষ্টভূজা চামুন্ডা মূর্তিতে সবই খোদাই করা আছে। তাই এই দেবীর নাম কঙ্কালেশ্বরী। বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকায় পঞ্চরত্ন বিষ্ণু মন্দিরে এই মূর্তি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। কথিত আছে, বাংলার ১৩২৩ সাল নাগাদ কমলাকান্ত নামে এক সাধক পায়ে হেঁটে গোটা ভারত ভ্রমন করছিলেন। তিনি কাঞ্চননগরের এই মন্দিরে এক রাত্রি বাস করেন। তখন এখানে কোন বিগ্রহ ছিল না। তিনি স্বপ্নাদেশ পান সামনে দামোদরে এই মূর্তি উল্টানো অবস্থায় আছে। তার উপর ধোপারা কাপড় কাচছে। এলাকার মানুষদের নিয়ে সেই সাধক সেখানে যান। এবং মূর্তিটি তুলে এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই পুজো শুরু।
আবার অন্য এক মতে, ১৯২৩ সালের বন্যায় পর দামোদরে বালির মধ্যে এই মূর্তি পাওয়া যায়। মূর্তিটি অতি প্রাচীন। এটি প্রাক্- আর্য যক্ষিণী মূর্তি।
প্রতিদিন তিনবার নিত্য পুজো হলেও কালি পুজোর সময় প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। আমাবস্যা তিথি মেনে পুজো হয় না। আমাবস্যা শুরু না হলেও সন্ধ্যায় পুজো হয়। বলি প্রথা নেই। চামুন্ডা ধ্যানে পুজো হয়। মানুষের বিশ্বাস দেবীর কাছে মানত করলে মনোষ্কামনা পূরণ করেন।
নিচে ক্লিক করে দেখুন ভিডিও-