কুন্তল চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান: রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পুলিশ। ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চলছিল লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক মহিলাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, কুড়ি জনের কাছ থেকে মোট ৪১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়েছে তারা। এই চক্রের মূল পান্ডা ভৈরব ব্যানার্জীকে গুসকরা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও পূর্ণিমা দে নামে এক মহিলাকে ওই এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গুসকরার বাসিন্দা সব্যসাচী মন্ডল নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে গুসকরা পুলিশ প্রথমে পূর্ণিমা দে কে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, মোট ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেন রেলওয়ে গ্রুপ ডি চাকরির জন্য পূর্ণিমা দের মাধ্যমে। তিনি আরেকটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন, হাওড়ার কাছে রেল দপ্তরের একটি ঘরেতেই ইন্টারভিউ হয়েছিল এমনটাই তার অভিযোগ। এমনকি রেলের নিয়োগপত্র তাকে দেওয়া হয়। হাওড়া ডিভিশনে সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গেলে তা ভুয়ো বলে জানান রেল আধিকারিকরা। এরপরই তিনি অভিযোগ করেন।
কিভাবে চলতেই প্রতারণা?
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে,
ভৈরব ব্যানার্জী নামে এই ব্যক্তি রেলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলতো। কেউ চাকরির জন্যও এলে তাদের কেই টোপ হিসেবে ব্যবহার করতো।
পূর্ণিমা দে এবং মোতিলাল কোনার নামে গুসকরার দুই বাসিন্দা তাদের আত্মীয় চাকরির জন্য ভৈরব ব্যানার্জিকে টাকা দেয়। পরে তাদেরকেই চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করে দেওয়ার বিনিময় মোটা টাকা কমিশনের টোপ দেওয়া হয়।
এই ফাঁদে পা দিয়েই গ্রেপ্তার পূর্ণিমা দে এবং মোতিলাল কোনার। তারা গুসকরা এলাকার বাসিন্দা। এই দুজনের হাত ধরেই অনেকেই টাকা দিয়েছে ভৈরব কে। প্রাথমিকভাবে এ মনটা জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃত ভৈরব ব্যানার্জি এবং পূর্ণিমা দেখকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে তার সামনে আসবে, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।