নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখুন ভিডিও:
Purba Bardhaman: একই বাড়িতে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু। একটি ঘর থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের দেহ। অন্য ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মৃত মহিলার ভাইয়ের দেহ। চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার খাঁদরা গ্রামে।
মালবিকা চক্রবর্তী ও তার ছেলে কৌশিক চক্রবর্তীর বিছানায় দেহ পাওয়া যায়। পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘুমের ওষুধের পাতা। তা দেখে আত্মীয়দের অনুমান, নিজের দিদি ও ভাগ্নাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ভাই উৎপল চ্যাটার্জী। এরপর পাশের ঘরে গিয়ে নিজে আত্মঘাতী হয়। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মৃত তিনজনেই একই বাড়িতে বসবাস করত। মালবিকা দেবীর স্বামী কলকাতায় গুঁড়ো চায়ের ব্যবসা ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর তার ভাই এই ব্যবসা দেখাশোনা করতো বলে জানতে পারা গেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই দিদি এবং ভাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হত। তারই জেরে এই ঘটনা কিনা তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
রবিবার সকালে বাড়ির কাজের লোক প্রথম দেখতে পায়। খবর দেয় প্রতিবেশীদের। ঘটনাস্থলে আসে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। একই বাড়ীতে এই তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসে।
ঘটনাটি আত্মহত্যা? খুন? নাকি অন্য কিছু? পাশাপাশি কি জন্যই বা এমন ঘটনা ঘটলো? এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তারা।