নিচে দেখুন সেই ভিডিও
তৃণমূলের মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের দুই নেতার তরজা সামনে এলো। এদিন বর্ধমান টাউন হলে বর্ধমান শহর জয় হিন্দ বাহিনী বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান প্রণব চট্টোপাধ্যায়, সহ প্রশাসক আইনুল হক সহ আরো অনেক নেতৃত্ব।
সম্প্রতি বর্ধমান পৌরসভার চারটি রোলার এর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি নতুন পৌর বোর্ডের নজরে আসে। যদিও সোমবার কাঞ্চননগর এলাকা থেকে সেগুলি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই জয় হিন্দ বাহিনীর বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান প্রণব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নেতাদের খোলস দেখবেন না । নেতারা অন্যায় করলে প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিন।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “পৌরসভায় গিয়ে আশ্চর্য আশ্চর্য দেখছি। চার-চারটে রোলার পৌরসভায় নাই। যাকেই জিজ্ঞেস করি যে তোমরা তো কাউন্সিলে এগুলোর ব্যাপারে কিছু জানো।” এরপরই মঞ্চে বসে থাকা প্রাক্তন কাউন্সিলার সনৎ বক্সীর দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলেন, “একেই জিজ্ঞেস করছিলাম। ওইখানে বসে আছে। আমাদের বিখ্যাত নেতা। সনৎ বক্সী। বলল, আমি কিছু জানিনা। কে জানবে? কমিশনার হলাম, কাউন্সিলর হলাম, নেতা হলাম। আর জিনিস চলে গেলে আমিতো জানিনা।” এর পরেই তিনি বলেন, “জয় হিন্দ বাহিনী দাঁড়িয়ে দেখবে? জয় হিন্দ বাহিনী কে প্রতিবাদ করতে হবে।
এরপরই বক্তব্য রাখেন সনৎ বক্সী। প্রণব বাবুর বক্তব্যের জবাব দেন তিনি। ” খুদুদা একটা ভালো কথা বলল। চারটে রোলার চুরি হয়ে গেছে । আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমি তার ভাগ পাই আর না পাই আমরা ৩৫ টা কাউন্সিলর তার জন্য দায়ী। কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়নি। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল । সেই জন্য পৌরসভায় কথা বলতে পারতাম না। খুদুদা একদিন ছিল । আজকে যারা এখানে আছে। তিনটে কমিশনার কাউন্সিলর ছিলেন। তাদেরকে কিছু বলার দরকার ছিল। কারণ তারা ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে পারবে। আমি তো তৃতীয় সন্তান ছিলাম । আমার সাথে কারোর ভাব ভালোবাসা ছিল না । আমি প্রতিবাদ করতাম। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হত।” এদিনেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, “আগামী দিনে এখান থেকেই শপথ করতে হবে । যদি খুদুদা, আইনুল হক বর্ধমান পৌরসভা আসে তাদেরকে শপথ করতে হবে যেন বর্ধমান শহরের দুর্নীতি, বর্ধমান পৌরসভার দুর্নীতি ওরা বন্ধ করে। এটাই শপথ নিতে হবে।
প্রকাশ্য মঞ্চে উপস্থিতি দুই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার এই বাকযুদ্ধ অবশ্যই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।