অকাল বর্ষণে মাথায় হাত পূর্ব বর্ধমানের আলুচাষিদের।
কৃষিপ্রধান এই জেলায় ধানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়। আলু চাষের উপর নির্ভরশীল অসংখ্য কৃষক পরিবার। ইতিমধ্যেই তারা জমিতে আলু বীজ রোপন করেছেন। তবে সেই বীজ থেকে চারা বেরোনোর আগেই অকাল বর্ষন। ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত জেলার আলুচাষিদের। এত বিপুল পরিমাণ জমির আলু যদি নষ্ট হয় এক্ষেত্রে আলু উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতি বিঘায় আলু চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। গত বছর থেকে এ বছর খরচ অনেকটাই বেড়েছে। তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে পরিবহন খরচ। পাশাপাশি বেড়েছে আলু বীজের দাম এবং সারের দাম।
এক বিঘা জমি চাষ করতে প্রায় ৩ থেকে ৪ বস্তা সার লাগে। ১৬০০ টাকা বস্তা সার বর্তমানে। বীজ লাগে ৫ বস্তা। বস্তা পিছু২.৫০০ টাকা দাম। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি খরচা হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বেশিরভাগ কৃষক কিছুটা জমিতে বীজ রোপন করেছেন। ঘরে এখনো বীজ কেনা রয়েছে । সেই বীজ মাঠ শুকানোর পর নতুন করে রোপন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর এলাকার কৃষক বিকাশ ঘোষ, প্রভাত ঘোষ, উত্তম ঘোষরা জানিয়েছেন এই এলাকায় প্রায় সাত হাজার বিঘা জমিতে আলু চাষ হয়। তবে এই চরম ক্ষতি সম্মুখীন প্রথম হলেন তারা। আলু বীজ রোপন করার সময় এই ধরনের অকাল বর্ষণ আগে হয়নি।
আলুর পাশাপাশি ধান চাষীরাও চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এখনো মাঠের ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে অনেক কৃষকেরই। সেই সমস্ত ধান নষ্ট হতে বসেছে।
বেশিভাগই কৃষক সমবায় বা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। তাই এই সমস্যা থেকে কিভাবে তারা মুক্তি পাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি সাহায্যের দিকেই।