করোনা সংক্রমনের জেরে বদলেছে লাইফ স্টাইল। এখন সঙ্গী হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার। মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি বিধিনিষেধ তো রয়েছেই। তা বলে মনের দুটি মনের মিলন আটকে যাবে- এটা কখনো হয়। করোনার জন্য তো বিয়ে বন্ধ হতে পারে না।
সব কিছুকে মান্যতা দিয়েই অভিনব ভাবনা পূর্ব বর্ধমানের এক যুগলের। মেমারির পাল্লা রোডের বাসিন্দা সন্দীপন সরকার ও বর্ধমানের অদিতি দাস।
সরকারি নির্দেশিকায় ৫০ জন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির কথা জানানো হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২০০ করা হয়। কিন্তু এই যুগল একেবারেই ঝুঁকি নিতে চান না। আগস্টেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ের তারিখ। তার ওপর সম্প্রতি করণা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল সন্দীপনকে। তখনই এই অভিনব ভাবনা আসে তার মাথায়।
তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন শখানেক মানুষ। কিন্তু তাদের পরিচিত বা আত্মীয়রা কি বাদ যাবেন? তার জন্যই অভিনব আইডিয়া বের করেছেন তারা। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে।
ভার্চুয়াল বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তারা। গুগুল মিটে বিয়ের অনুষ্ঠান সাক্ষী থাকতে পারবেন অনেকেই। আর যারা সাক্ষী থাকবেন এই অনুষ্ঠানে তাদের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন থাকছে। সেখানে অভিনব ভাবনা। জনপ্রিয় অনলাইন ফুড অ্যাপের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে যাবে তাদের ঘরে। প্রায় ৩৫০ জন মানুষের আয়োজন থাকছে।
২৪ জানুয়ারি চার হাত এক হবে বর্ধমানের সন্দীপন এবং অদিতির। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
অতিথিরা নেটমাধ্যমে বিয়ের সরাসরি সম্প্রচার দেখবেন।
শুধু বর্ধমান নয় এই অনলাইন খাবার পরিবেশন সংস্থার মাধ্যমে তাদের পরিচিত কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালুরুর আমন্ত্রিতরা ও খাবার পাবেন।
চমকের এখানেই শেষ নয়।
বিয়ের তত্ত্বে থাকছে মাস্ক স্যানেটাইজার, গল্পের বই, ঘরের ভিতর রাখা যাবে এমন গাছ ও মরণোত্ত্বর দেহ দানের ফর্ম ।
বর বিয়ে করতে যাবে সাইকেলে , প্রীতিভোজের দিন কেউ সাইকেল নিয়ে ভোজ খেতে এলে বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা।
ভোজ খেলে নবদম্পতিকে গিফট তো দেবেই অতিথিরা। কেউ গিফট দিতে চাইলে ফ্লিপকার্ট এর মাধ্যমে দিতে পারে বলে জানিয়েছে সন্দীপন।
একদিকে পরিবেশ-বান্ধব ভাবনা অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক সুরক্ষার কথা ভেবেই তাদের এই অভিনব আইডিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকলে।