মাঝে কেটে গেছে পনেরোটা বছর। শহীদ পরিবারকে এখনো ভোলেনি জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। আজও শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে মেহেমুদ খান সহ জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১০ সালে জামালপুরে অমরপুর এলাকায় সি পি এম এর হার্মাদ বাহিনীর হাতে খুন হয়ে শহীদ হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী পাঁচু গোপাল রুইদাস ও ইশায়ক মল্লিক। তারই কিছুদিন আগে সেখানে খুন হয় আরেক তৃণমূল কর্মী উত্তম ভুল। অভিযোগ ওঠে সেই সময়কার শাসক দল সিপিএমের দিকে।
ভয়-ভীতি দূর করে সেই সময় এই এলাকায় সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল এই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিন্তু রক্তাক্ত হলো এলাকা। সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর দিকে অভিযোগ উঠল। সেই সময় জামালপুর ছুটে আসেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য যুব সভাপতি মদন মিত্র। যেমন ওই এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন তেমনই জামালপুর নেতাজী ময়দানে করেছিলেন সভা। তারপর ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে দল। জামালপুর থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূলের বিধায়ক। জামালপুর থেকে নিশ্চিহ্ন হতে থাকে সিপিএম। ক্ষমতায় এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শহীদদের ভোলেন নি। প্রতিটি শহীদদের মৃত্যুদিন গুলিকে শহীদ দিবস হিসাবে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শুধু তাই নয় প্রতিটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এদিন শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন , কার্যকরী সভাপতি ভূতনাথ মালিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, জোতশ্রীরাম অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ সমস্ত অঞ্চল সভাপতি, শাখা সংগঠনের সভাপতি, প্রধান, উপ প্রধানরা। শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শহীদদের সম্মান জানানো হয়। তোলা হয় দলীয় পতাকা।
উপস্থিত সকল বক্তারা সেই সময়ের ঘটনার কথা স্মৃতিচারণ করেন। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন আজ এই শহীদদের জন্যই দল ক্ষমতায় এসেছে। সরকার এঁদের ভোলেনি। তাই শহীদ দের এই দিন গুলি সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ ও পালন করা হয়। মেহেমুদ খাঁন বলেন সেই সময় সিপিএমের গুণ্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তার ফলেই জামালপুরের ৫ জন তৃণমূল কর্মী শহীদ হন।আজকের দিনে তাঁদের খুবই মনে পড়ছে। এখন এঁদের অসম্পূর্ণ কাজ তাঁদেরই করতে হবে। আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুর থেকে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোট জয়লাভ করবে। আর এতেই এই শহীদদের আত্মার শান্তি পাবে।