পরিচারিকার কাজ করা কলিতা মাঝিকে প্রার্থী করল বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই দরিদ্র পরিবারের মহিলা। দীর্ঘদিন বামপন্থীদের হাতে থাকা এই আসন তপশিলি জাতি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। বীরভূম জেলা লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম।
গত বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের আভেদানন্দ থান্ডার জয়ী হন। এবারেও তিনি প্রার্থী। আদপে তিনি বোলপুরের বাসিন্দা। এবারে তারই বিপরীতে বিজেপির হয়ে লড়ছেন কলিতা মাঝি।
খড়ের চালের মাটির বাড়ি। যৌথ পরিবার। স্বামী সুব্রত মাঝি কল মিস্ত্রি। গুসকরা এলাকায় চারটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে অবসর সময়ে মাঠে দিনমজুরের কাজ করতে যান কলিতা। কোনোক্রমে সংসার বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা শহরের মাছ পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। পরিবারে রয়েছে এক ছেলে।
আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কলিতা মাঝি।
যে কোন ব্যাপারে মানুষের পাশে ছুটতেন সবার পাশে থাকার চেষ্টা করতেন বরাবরই। তবে কোনদিন প্রার্থী হবেন ভাবতেও পারেননি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আউসগ্রাম বিধানসভার একাই নিজের নাম শুনে হতচকিত হয়ে যান। পরে ওই এলাকারই দলীয় কর্মীরা এসে তাকে আশ্বস্ত করেন বলেন আমরা পাশে আছি ভয় নেই। তিনি জানিয়েছেন গুসকরা এলাকায় যে বাড়ি গুলিতে পরিচারিকার কাজ করেন তারাও বলেছে বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার কাজ শুরু করতে এই কদিন তারাই সামলে নেবেন।
কলিতা মাঝি দারিদ্রতা কে সঙ্গী নিয়ে বড় হয়েছেন। ছোট থেকেই অভাব-অনটন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে দিনমজুর পরিবারে বড় হয়েছেন। সাত বোন, এক ভাইয়ের সংসার ছিল।
গরিবের কষ্ট তিনি বোঝেন। তাই জিতলে এলাকার দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকবেন বলে তিনি জানালেন।
গতবারের বিজয়ী আভেদানন্দকে কতটা টক্কর দিতে পারবেন কলিতা মাঝি তা সময়ই বলবে।