২২ মার্চ বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে এক বালকের মৃত্যু হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বিস্ফোরণ।
এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিতে বিস্ফোরণ ঘটল।
রবিবার রাত নটা নাগাদ গলসি ১ ব্লকের আটপাড়া গ্রামে বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় গলসি থানার পুলিশ। যদিও এই বিস্ফোরণে আহত বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে বলেই স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান।
এই ঘটনায় পুলিশ যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে সেই বাড়ির মালিক শেখ সফিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির আশেপাশে আর কোন বিস্ফোরক বা বোমা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো বিস্ফোরকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনের ঠিক আগেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
বিজেপির বর্ধমান সদর জেলার সহ-সভাপতি রমেন শর্মার অভিযোগ, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়ার জন্য এবং যাতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন না হয়, সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয় তার জন্য এই কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারাই বোমা মজুত রেখেছিল।
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বিজেপির নব ও আদি গোষ্ঠীর কোন্দল রয়েছে। যে কারণে তাদের প্রার্থী বদল হয়। তারাই বোমা মজুত রেখেছিল।
উল্লেখ্য এই গ্রামে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এক শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ছিল।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ক্লিক করে দেখুন সেই ভিডিও: