সম্পত্তির লোভে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাসি এবং মেসোমশাইকে খুন।
দেহ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার মহুয়া সামন্ত , তার দুই ছেলে অনিকেত সামন্ত এবং অরিত্র সামন্ত।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর দম্পতি খুনের ঘটনার জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার।
মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। মৃত ছবি যশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘরের রান্নাঘর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। অভিজিৎ যশ এর দেহ ঘরের মেঝেতে উবুর হয়ে পড়েছিল। বাড়ির আলমারি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ছিল।
জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, খুন করে বাড়ির আলমারি ভেঙে টাকা-পয়সা বা যা সম্পত্তি ছিল তা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল তারা। ওই দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। মাঝেমধ্যেই তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সার দাবি করত শালী এবং তার দুই সন্তান । তা নিয়ে অশান্তিও হয়েছে অনেকবার বলে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এর পরেই পরিকল্পনামাফিক দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকালে ওই বাড়িতে পৌঁছে দুজনকে খুন করে বাড়ির সামনে দরজা বন্ধ করে চলে আসে তারা।
বুধবার ৪ সদস্যের ফরেন্সিক দল ওই বাড়িতে আসে। বাড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এমনকি বাড়ির বিভিন্ন বিষয়ের ফটোগ্রাফি করতেও দেখা যায় তাদের।
মঙ্গলবার বিকেলে ঘর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ । পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর ঘটনা।
মৃতদের নাম অভিজিৎ যশ এবং তার স্ত্রী সবিতা যশ। চারদিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে মঙ্গলবার বিকেলে আত্মীয়রা বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দুজনের দেহ পড়ে থাকতে দেখে। অভিজিৎবাবুর দেহ ছিল শোবার ঘরে এবং সবিতাদেবীর দেহ রান্নাঘরে ।
দেহদুটিকে উদ্ধার করেঐ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আত্মীয়দের সন্দেহ সম্পত্তির লোভে তাদের খুন করা হয়েছে।