ঘরের ভিতর থেকে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানের লাকুর্ডি এলাকার ঘটনা।
মৃতের সাত বছরের ছেলের মর্মান্তিক দৃশ্য প্রথম নজরে আসে। ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে সামনের এক ব্যবসায়ীকে বিষয়টি জানায়। তার পরই এলাকার লোক ছুটে আসে। স্বামী স্ত্রীর ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এবং 13 বছরের মেয়ে মেঝেয় পড়েছিল । এলাকার বাসিন্দারা মেরে পড়ে থাকা মেয়েকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠায়। এরপরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মৃত ব্যাক্তির নাম বিকাশ কুমার সাউ। বাড়ি উত্তর প্রদেশে । বর্ধমানের লাকুর্ডি এলাকার মেয়ে প্রিয়াংকার সঙ্গে তার বিয়ে হয় বছর চোদ্দ আগে। সেখানে বিকাশে পরিবারের সাথে বনিবনা না হওয়ায় মাস পাঁচেক আগে নিজের বাড়ি ছেড়ে স্বামী সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি বর্ধমান চলে আসে প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সহযোগিতায় সবজি ব্যবসা শুরু করে বিকাশ। তারা থাকার জন্য লাকুর্ডি এলাকা একটি বাড়ি দেয়। সেখানেই বসবাস করছিল।
মৃত প্রিয়াঙ্কার দাদা জানিয়েছে, বিকাশ কোন কাজ করত না। ঘরে বসে থাকতো। তাকে ব্যবসার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিলেও দিন ১৫ দোকান খোলেনি বিকাশ।
তার অনুমান মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা পরিকল্পনা করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার প্রকৃত কারণ কি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।