দেখুন ভিডিও নিউজ
পায়ে বাঁধা দড়ি। কত বছর এভাবে বাধা রয়েছে তা জানেনা সে নিজেই। এলাকার মানুষের জানাচ্ছেন বহু বছর ধরেই এভাবেই পা বাধা রয়েছে। খুলে দিলে পাছে কোথাও পালিয়ে যায় সেই ভয়েই মা বেঁধে দিয়েছে পায়ে দড়ি এমনটাই জানাচ্ছে পঞ্চাশোর্ধ আশেদ আলী।
বর্ধমানের ছোটনীলপুর এলাকার বাসিন্দা। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধা মা। বাবা বহু বছর আগেই মারা গেছেন। ছোট্ট ঘরে কোনক্রমেই দিন কাটে। মা নিজের সাধ্যমত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছে ছেলের। তবুও মানসিক রোগ ঠিক হয়নি। মাঝে মধ্যেই এখান ওখান পালিয়ে যায়। কখনো নিজের চেষ্টাতেই ফিরে আসে। কখনো বা খুঁজে আনতে হয়। তাই বহু বছর ধরেই পায়ে এই দড়ি বাঁধা রয়েছে। এটি তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। খুলে ফেলতে চাইনা সে নিজেও। নিজেই বলছে খুলে ফেললে কোথাও পালিয়ে যাব।
এলাকার মানুষ চাইছেন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক আসেদ। যদিও মা জামিলা বিবি ছেলে সম্বন্ধে কিছু বলতে চাইছেন না। পায়ে দড়ি বাধা কেন প্রশ্ন করা হলে বলেন পালিয়ে যায় তাই বেঁধে রাখা হয়েছে পা।
তবুও আসেদ রয়েছে হাসিমুখে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় সবার সাথে গল্প করে পায়েল শিকলই তার আনন্দ। এর মধ্যেই সে খুঁজে পায় বেঁচে থাকার আনন্দ।
তবে সাদেক সুচিকিৎসার মধ্যে সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক এটাই চাই আমরা।।