ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আদর্শে হোমিওপ্যাথি র মাধ্যমে রোগ সারাচ্ছেন তার উত্তরসূরিরা অর্থাৎ পি ব্যানার্জি পরিবার। ছোটভাই ঈশানচন্দ্রের সহযোগিতায় হোমিওপ্যাথি র মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়। পরে ঈশানচন্দ্রের ছেলে পরেশনাথ, পৌত্র প্রশান্ত, প্রপৌত্র প্রতীপ এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে চলেছেন৷ প্রায় দেড়শো বছর ধরে হোমিওপ্যাথি নিয়ে সাধনা করে চলেছে এই ব্যানার্জি পরিবার৷
জানা গেছে, এক সময় মাইগ্রেনের ব্যথায় দারুণ কষ্ট পাচ্ছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়৷ সেই সময় বাবু রাজেন দত্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সুস্থ করে তোলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে৷ সেই থেকেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হোমিওপ্যাথিতে ভরসা। ছোট ভাই ঈশানচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে হোমিওপ্যাথি শিখলেন। বিদ্যাসাগর প্রায় ১৫ বছর গরিব মানুষের সেবায় হোমিওপ্যাথিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ বহু মানুষকে তিনি সুস্থ করে তোলেন। পরে ঈশানচন্দ্রের ছেলে পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় হোমিওপ্যাথিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন।
জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্বপল্লি রাধকৃষ্ণ ও আরও অনেকে পি ব্যানার্জির ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছিলেন। পরেশনাথবাবুর পর ছেলে ডা. প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসার হাল ধরে। ১৯৬০ সাল নাগাদ কলকাতায় জগুবাবুর বাজারের কাছে স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে চেম্বার খোলেন। কলকাতায়ও শুরু হয় ‘ব্যানার্জি পরিবারের’ হোমিওপ্যাথি৷ আজও চলছে সেই ঘরানা৷ কয়েক জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি টিম তৈরি করেন। সুদীপ্ত মল্লিক, রাজু শর্মা, সোমা সিংহরায়, অভিজিৎ ভৌমিক-সহ অনেক নামী চিকিৎসক রয়েছেন ওই টিমে৷