প্রায় ৭০ বছর ধরে এমনই এক হাতে লেখা ম্যাগাজিনের প্রকাশ করছে বর্ধমানের রায়নার আনগুনা গ্রামে প্রভাত স্মৃতি সঙ্ঘ । নামী প্রকাশকনা সংস্থার ঝাঁ চকচকে শারদ সংখ্যার ভিড়ে ঐতিহ্য আর গুনগত মানে কোনো অংশেই কম নয় আনগুনার ‘শারদীয়া প্রভাত’।
হাইলাইটস বেঙ্গল নিউজ ডেস্কঃ ৮ ইঞ্চি বাই ১২ ইঞ্ছি মাপের প্রায় ২০০ পাতার ম্যাগাজিন। তাতে রং বে রঙের আঁকিবুকি আর তার সাথে নামজাদা সাহিত্যিক থেকে সদ্য লিখতে শেখা সন্দীপ, সুজয়দের কবিতা বা গল্প। তবে সবটাই হাতে লেখা। প্রায় ৭০ বছর ধরে এমনই এক হাতে লেখা ম্যাগাজিনের প্রকাশ করছে বর্ধমানের রায়নার আনগুনা গ্রামে প্রভাত স্মৃতি সঙ্ঘ ।
নামী প্রকাশকনা সংস্থার ঝাঁ চকচকে শারদ সংখ্যার ভিড়ে ঐতিহ্য আর গুনগত মানে কোনো অংশেই কম নয় আনগুনার ‘শারদীয়া প্রভাত’। ১৯২০ সালে প্রথম এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বহু বিখ্যাত সাহিত্যিক লেখা পাঠিয়েছেন এই পত্রিকায়। কাজি নজরুল ইসলাম, কালিদাস রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নবনিতা দেবসেন কে নেই লেখকের তালিকায়। এই সকল লেখকদের নিজের হাতের লেখা পাণ্ডুলিপিও প্রকাশ হয়েছে এই পত্রিকায়।রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের আঁকা ছবিও। বিখ্যাত লেখকদের লেখাই প্রকাশ হয় তা নয়, স্থানীয় কবি সাত্যিকদের লেখাও থাকে ‘শারদীয়া প্রভাত’ –এ। সেই সময় মুদ্রণ ব্যবস্থা চালু থাকলেও কিছু করার নেশাতেই এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ হাজরা, মনোরঞ্জন রায় এর মতো উৎসাহীদের হাত ধরে শুরু হয় এক নতুন উদ্যোগ। সেই ধারা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে নতুন প্রজম্ম। প্রতি বছর লক্ষ্মী পুজোর দিন এই সাহিত্যি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে সংখ্যায় একটি। ক্লাবের লাইব্রেরীতে সযত্নে রাখা থাকে। সেখানেই সকলে পড়তে আসে এই ব্যাতিক্রমী সাহিত্য পত্রিকা। আঁকা থেকে লেখা সবটাই করে পাড়ার নবীন প্রজন্মের কৌশিক গুপ্তা, সন্দীপ সামন্তর মত উৎসাহীরা। তার সাথে হাত মেলায় আমিত রায়, অমৃত কুমার হাজরা, সৌমেন্দু চক্রবর্তীর মতো প্রবীণরাও। ডিজিট্যাল প্রিন্টিং এর যুগে এই হাতে লেখা ম্যাগাজিনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ক্লাব সদস্যরা।