প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়ঃ দুর্ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলেও গাড়ির চালকদের উদাসীনতায় নিত্য দিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা তারই প্রমাণ। সরকার সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সরকারের শুভ উদ্যোগকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একশ্রেণী বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। অনেকক্ষেত্রে চলকদেরও মৃত্যু হচ্ছে। সবটাই দুঃখজনক। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শহরে বেড়েছে টোটো এবং অটোর দৌরাত্য।
এদিন পশ্চিম মেদনীপুরের নারায়ণগড় থানার রাজপুর গ্রামে টোটো দুর্ঘটনায় অনিমা সাউ নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুজোর বাজার করে বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা। মেয়ে জামাইয়ের সাথে বাজার সেরে টোটো করে বাড়ি ফিরছিলেন। উল্টো দিক থেকে একটি ছোট ট্রাক ধাক্কা মারে টোটোকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনিমা সাউ এর। তার মেয়ে ও জামাইকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেরে দেওয়া হয়। দুটি গাড়ির চালকই পলাতক। এদিকে বর্ধমানের রায়নার মোঘলমারিতে দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু সইদুল রহমান নামে এক লরির চালকের। পুলিশ সূত্রে জান গেছে, বেপরোয়া ভাবে চলা একটি বালি বোঝাই লরির সঙ্গে সিমেন্ট বোঝাই একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালি বোঝাই লরিটিকে নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। অন্যদিকে শুক্রবার জলপাইগুড়ির ধুপগুরিতে পিকাআপ ভ্যানের ধাক্কায় কিরণবালা রায় নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। এখানেও চালক পলাতক। এই গাড়ির চালকরা কবে সচেতন হবেন? অনেকেই বলছেন, কঠোর আইন চালু করে এই বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।