নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অষ্টমীতেই হয় সিঁদুর খেলা। বর্ধমানের মেমারির বিজরা গ্রামের ঘোষ ও বোস পরিবারের পুজোয় প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই নিয়ম আজও চলে আসছে। শুরুটা কিভাবে হয়েছিল কেউ বলতে না পারলেও পুরানো ঐতিহ্য আর পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রেখেছে বর্তমান প্রজম্ম। এলাকার বাসিন্দা রতনেশ্বর ঘোষ এই পুজো শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই অষ্টমীর সিন্দুর খেলার রেওয়াজ চালু হয়েছিল। সেই রেওয়াজ এখনও চলে আসছে। অন্যান্য জায়গায় যখন দশমীর দিন সিঁদুর খেলা চলে তখন এখানে শুধুমাত্র দেবীকে সিঁদুর পড়িয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
অষ্টমীর পুজোর শেষে শুরু হয় একে অপরকে সিন্দুর মাখিয়ে দেয়। সিন্দুর খেলা দেখার জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন এখানে আসেন। সিন্দুর খেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। আগে মহিলারাই শুধু সিঁদুর খেলতো এখন পুরুষ,মহিলা নির্বিশেষে এই খেলায় অংশ নেয়। ব্যতিক্রমী এই নিয়মের সঙ্গে দেবীর রূপেরও ব্যতিক্রম রয়েছে। দেবীর রং উদিয়মান সূর্যের আভার রঙে করা হয় এখানে। এখানে মহিষাসুর সবুজ বর্ণের। নবমী তিথিতে বোধন বসে এখানে। প্রায় ৩০০ বছরের এই পুজোকে ঘিরে উৎসবের চেহারা এলাকায়।