পূর্ব বর্ধমান:-ছোট থেকেই ভালবাসতেন রুপালি জগতকে। বাংলা সংস্কৃতি এবং সিনেমা জগতকে ভালোবেসে নিজের রোজগারের উদ্বৃত্ত অর্থ সেখানেই ব্যায় করেন শুধু তাই নয়, দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রদের পাশে থাকেন সবসময়। সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাদের। বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে সবাই ফটিকদা বলেই এক নামে চেনে। বাংলা টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচিত মুখ।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জাড়গ্রামে জন্ম। কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ সময় টাই কেটেছে মুর্শিদাবাদের খরগ্রামে শেরপুর গ্রামে। বাংলা সিনেমা একনিষ্ঠ ভক্ত। সিনেমার কলাকুশলীদের পছন্দ করতেন। সময় সুযোগ পেলেই ছুটি যেতেন টালিগঞ্জ পাড়ায়। ভাবতেন এই জগতেই তিনি থাকবেন। কিন্তু সাধ থাকলো সাধ্য ছিলনা। ২০০০ সালে বাবার মৃত্যুর পর শুরু হয় আর্থিক অনটন। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কলকাতায় একটি ছোটখাটো চাকরি জোটান। কিন্তু তাতেও মন ভরছিল না। ২০১৩ সালে সেখান থেকে বেরিয়েছে শুরু করেন ব্যবসা। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটে তাঁর।এরপর শুরু করেন তাঁর স্বপ্ন পূরণের যাত্রা। বাংলা ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিভিন্নভাবে সেই শিল্পীদের পাশে থাকেন তিনি। বিভিন্ন গ্রামে শিল্পীদের নিয়ে এসে যৎসামান্য অর্থেই অনুষ্ঠান করানো শুরু করেন। টালিগঞ্জের শিল্পীদের জন্য গ্রামের ক্লাবগুলি হয়তো বিশেষ অর্থ ব্যয় করতে পারে না। কিন্তু বাকি অর্থ তিনি দিয়েই অনুষ্ঠান করান গ্রামেগঞ্জে।
সম্প্রতি জামালপুরের বেরুগ্রামে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে দেখা হল প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। টালিগঞ্জের বেশ কিছু কলা কুশলীকে নিয়ে এসে তিনি অনুষ্ঠান করালেন। বললেন, আগামী দিনে বাংলা সিনেমা ও সিরিয়ালের উপর কাজ করতে চান। পাশাপাশি বললেন অর্থের অভাবে কারো পড়াশোনা সমস্যা হলে তিনি তাদের পাশে থাকবেন। তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।