নিউজ ডেস্ক: নাম তার ফৌজদারি কালী। কোন আদালতে নয়। বর্ধমানের খোস বাগান এলাকায় রয়েছে এই কালির মন্দির।
কেন এই কালীর নাম ফৌজদারি? ঐতিহ্যবাহী এই কালী পুজোর এই নাম ঘিরে রয়েছে এক কাহিনী। মানুষের বিশ্বাস যে, কোন আইনি সমস্যায় জড়িয়ে গেলে এই মা কে ডাকলে তার মনোস্কামনা পূর্ণ হবে। জানা গেছে, এই দেবীর মাহাত্মের কাহিনী শুরু হয়েছে ১৯৫২ সালে। সেই সময় এই কালী বাগদি পাড়ার কালী নামে পূজিত হত। সেই সময় শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে এলাকার কয়েকজন এই কালী ঠাকুরকে নিয়ে বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা বের করে। কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ তাদের আটকায়। প্রায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেই সময় কালী ঠাকুর ওই জায়গাতেই পড়ে থাকে। জামিনের আবেদন চেয়ে মামলা শুরু হয় হাইকোর্টে। আইনজীবী বিনা পারিশ্রমিকে মামলা চালায়।এরপর হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে এবং শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়। সেই দিনই দেবীকে নিয়ে সারা বর্ধমানে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। দিনটা ছিল ভাইফোঁটার পরের দিন।
মানুষের বিশ্বাস দেবীর আশীর্বাদেই মামলায় জয় লাভ হয়। সেই থেকেই দেবীর মাহাত্ম চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। তখন থেকেই এই দেবী ফৌজদারি কালী নামে পরিচিত। এখানেই মন্দির করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানেই এখনো নিয়ম নিষ্ঠার সাথে ফৌজদারি কালী মায়ের পুজো হয়ে আসছে। তখন থেকেই এখনো ভাইফোঁটার পরের দিন এই কালীর বিসর্জন হয়। নিয়ম অনুযায়ী পুজোর দিন ছাগ বলি হয়। অন্নভোগের আয়োজন থাকে। বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান হয়। এখনো বিসর্জনের দিন চতুর্দোলায় মাকে চাপিয়ে বর্ধমানের রাস্তায় বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।