নিউজ ডেস্ক : বর্ষ শেষের শেষ রবিবারে ধরা পড়লো এক অন্য পিকনিকের ছবি। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের লাক্কুর্ডি এলাকায় হল গোপালের বনভোজন। ১৪ তম বছরে পরলো এই দেবতার বনভোজন। সাহা বাড়ির উদ্যোগে এই বনভোজন শুরু হলেও এখন তা সর্বজনীন।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ হাজির হন এদিন এখানে। সঙ্গে নিয়ে আসেন তাদের আরাধ্য দেবতা গোপালকে। প্রায় শতাধিক গোপাল এসে হাজির হয় এখানে। সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয় গোটা এলাকা। ভোর থেকেই চলে নিরামিষ বিভিন্ন রকম পদ রান্না। গোপালকে ভোগ নিবেদন করা হয়। হরিনাম সংকীর্তন আরতি চলে দীর্ঘ সময় ধরে। তারপর সকলকেই ঠাকুরের ভোগ পাত পেড়ে খাওয়ানো হয়। এক বিরাট উৎসবের চেহারা নেয় এই এলাকা।
পরিবারের প্রবীণ কর্তা তপন সাহা জানান, বর্ষ শেষে সকলেই পিকনিক করে আনন্দ করে। তা থেকে কিভাবে বাদ যায় বাড়ির আদরের সদস্য গোপাল। বাড়ির আরাধ্য দেবতা গোপাল ঠাকুরকে বাড়িতে একা ফেলে রেখে কোথাও বনভোজনে যাওয়ার কথা তাঁরা ভাবতেই পারেন না। তাঁরা তাই বাড়ির গোপাল ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়েই বনভোজনের আয়োজন করে থাকেন। প্রতি বছর ইংরেজি ডিসেম্বর মাসের শেষ রবিবার গোপালের বনভোজন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। এবছর গোপালের বনভোজন মহোৎসব ১৪ বছরে পড়ল।
সাহা পরিবারের গৃহবধূ সীমা সাহা বলেন, “গোপালের বনভোজন মহোৎসবে গোপালের নাম সংকীর্তন ও পুজো পাঠ হয়। আর গোপাল এবং গোপালের ভক্তদের খাবারে মাছ, মাংস থাকেনা। অন্নভোগের মেনুতে থাকে পোলাও বা রাইস, কচু শাকের তরকারি ও মোচার তরকারি, লাবড়া, বিভিন্ন ভাজাভুজি।
বনভোজনের খাওয়া-দাওয়ার জন্য সকলের কাছে মাত্র দেড়শ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়। অনেকেই অর্থ সাহায্য করেন। সব খরচ করার পর উদ্বৃত্ত অর্থ বছরে কোন এক সময় গরিব মানুষদের জন্য দান করে দেওয়া হয়। এভাবেই চলে আসছে গোপালের বনভোজন। এক ধর্মীয় মিলন ক্ষেত্র তৈরি হয় এখানে।