নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত অর্থেই গরীবের ভগবান। সারা বছর ধরেই মানুষের পাশে থাকেন তিনি। কখনো রাজনৈতিক পরিচয়ে কখনো বা সমাজসেবী হিসেবে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান। এবং জামালপুরে প্রায় চার হাজার অসহায় মানুষের হাতে শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য কম্বল তুলে দিয়ে নজির গড়লেন। জামালপুর জনকল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার উপস্থিতিতে এদিনের এই অনুষ্ঠান ঘিরে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। এই কাজে মেহেমুদ খানকে যোগ্য সহযোগিতা করেন কোষাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক।
এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, বিডিও পার্থ সারথী দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, স্বরাজ ঘোষ দুই জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে সহ অন্যান্যরা।
জামালপুর জনকল্যাণ সোসাইটি কুড়ি বছর অতিক্রম করেছে। সারা বছরই তারা বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত থাকে। আর যার প্রধান কান্ডারী মেহেমুদ খান। কখনো খাদ্য বিতরণ কখনো বা দুর্গা পুজোয় বস্ত্র উপহার প্রদান রক্তদান শিবির স্বাস্থ্য শিবির ছাড়াও বিভিন্ন রকম সামাজিক কাজ করে থাকেন। করোনা কালে প্রায় দশ হাজার মানুষের হাতে খাদ্য তুলে দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এলাকার অসংখ্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন তেমনি শীত শুরু হতেই এবার ৪০০০ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিলেন।
ঔ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সব সময় বলেন মানুষের পাশে থাকতে। বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন বা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বার্তা তিনি দেন। আর সেই পথ ধরে মেহেমুদ খান এভাবেই মানুষের পাশে থাকলেন।
এদিন মেহেমুদ খান জানিয়েছেন, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। আর সেই ভাবনা থেকেই সারা বছর ধরেই বিভিন্ন রকম সামাজিক কাজ করেন। সকলের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন।
জামালপুর জনকল্যাণ সোসাইটির এদিনের এই কম্বল বিতরণ কর্মসূচিকে এলাকার মানুষরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।