এলাকার মানুষদের কাছে তিনি ভগবান। কেউ বিপদে পড়লেই ছুটে যান তার কাছে। অসহায় মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। তাই তাকে অনেকে দাতা মেহেমুদ বলেন।
জামালপুরের ভূমিপুত্র মেহেমুদ খান। তিনি জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত্ত কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বেও আছেন। তবে যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল সেই সময় তৃণমূলের হয়ে জোরদার লড়াই চালিয়েছিলেন এলাকায়। তখনও মানুষের পাশে থাকতেন। আজও তার বদল হয়নি। শীতে অসহায় মানুষকে শীতের পোশাক দেওয়া কিংবা প্রচন্ড বৃষ্টিতে কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারলে তাকে গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া। আবার পুজো, ঈদ বা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের হাতে বস্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া। সবই করেন তিনি। ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে পুরোহিতদের নিয়েও বিশেষ অনুষ্ঠান করেন আবার মৌলবিদের নিয়ম অনুষ্ঠান করেন। ধর্মীয় বিভেদ মানেেন না তিনি। দূর্গা পুজোর ঠিক আগেই জামিল পুরের প্রায় ৫০০০ মানুষকে তিনি বস্ত্র উপহার তুলে দিলেন। শুধু তাই নয়, কেউ বিপদে পড়লে পাশে থাকেন। সে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারই হোক বা অন্য কোন কারণে হোক। কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না। তাকেও সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই তিনি এ কাজ করেন। এভাবেই সারা বছর ধরে বিভিন্নভাবে সামাজিক কাজ মাধ্যমে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ান। শুধু তাই নয় সরকারি বিভিন্ন সুবিধা যাতে ঠিক মানুষের কাছেই পৌঁছে যায় সেদিকে ও নজর রাখেন মেহেমুদ খান।
এদিন জামালপুরের ৫০০০ এর বেশি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে বস্ত্র উপহার তুলে দিলেন। যারা এসেছিলেন তাদেরকে করজোড়ে প্রণাম জানাতে ভোলেননি তিনি। মেহমুদ খান জানিয়েছেন, বস্ত্র নিতে এই মানুষরা আজ হাজির হয়েছেন বলেই তিনি এই কাজ করতে পারছেন। তাই তাদেরকে আগে প্রণাম জানানো দরকার। এদের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বললেন, দেবী দুর্গার রূপে মা রয়েছে সকলের ঘরে। তাই ঘরের জীবন্ত মাকে আমাদের সকলকে আগে ভালো রাখতে হবে।
তিনি জানিয়েছেন আগামী দিনেও যতদিন বাঁচবেন এভাবেই মানুষের সেবা করে যাবেন।