পত্রলেখা চন্দ্র: রক্ত দান করতে উত্তর থেকে দক্ষিণ এ ছুটে বেড়ান। কোন পুরস্কার বা রেকর্ড খেতাবের জন্য নয়, রক্তের অভাবে যেন কোন মানুষ মারা যায় না যান এটাই জীবনের ব্রত। বয়স ৬২ বছর। এখনও পর্যন্ত রক্ত দান করেছেন ১৪৪ বার। বর্ধমানের কালনার তেহাট্টা গ্রামের বাসিন্দা জনার্দন ঘোষ। যিনি রক্ত দান করে নিজের নামটাই বদলে দিলেন। এখন তিনি ডোনাদা নামে খ্যাত।
যখন তার বয়স ১৭ বছর । রক্তের অভাবে মা মারা গিয়েছিলেন। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কোন মানুষকে রক্তের অভাবে মারা যেতে দেবেন না। সেই শুরু। তখন থেকেই রক্ত দিতে শুরু করেন। ডোনাদা বাংলার সমস্ত জেলায় রক্ত দিয়েছেন ,শুধু কোচবিহারে এখনও দেন নি। কিন্তু ডাক পেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। কলকাতা মেডিকেলে ১ অক্টোবর ডাক্তার জনির জন্মদিনেও রক্তদান করেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তিনি মানুষদের রক্তদানে উৎসাহিত করেন। বিভিন্ন গ্রুপ রক্তের ছেলে নিয়ে ২০০ জনের দল তৈরি করেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মে রয়েছে রক্ত ঠিকঠাক থাকলে ৯০ দিন অন্তর রক্ত দান করা যাবে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন থেকে একশোরও বেশি সংবর্ধনা পেয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছ থেকেও। বক্রেশ্বর এ রক্তদান করার পর ড্রেনে রক্ত ফেলার দৃশ্য দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন। তবুও রক্তদান থেকে সরে আসেননি। তার ইচ্ছা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রক্তদান করে যাবেন।