নিচের ভিডিও ক্লিক করে দেখুন
স্কুল শিক্ষকের নজরকাড়া শিল্প।
স্কুল বন্ধ। সময় কাটাতে অভিনব ভাবনা মাথায় আসে। আর তাতেই তাক লাগিয়েছেন সকলকে।
ফেলে দেওয়া কাগজ দিয়ে হুবহু দক্ষিণেশ্বরের মন্দির এর আদলে তৈরি করে ফেলেছেন কাগজের মন্দির। কোনদিন এই ধরনের শিল্পের ট্রেনিং নেন নি। তবুও অবাক প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার বাসিন্দা তপন দাস। পেশায় বীরভূমের চৌহাট্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের শারীর শিক্ষার শিক্ষক। স্কুলের সরস্বতী পূজার প্যান্ডেল করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রতিবছরই।
দীর্ঘ সময় বন্ধ স্কুল। সময় কিভাবে কাটাবেন ভাবতে ভাবতেই আইডিয়া আসে মাথায়। বাড়ির মধ্যে ফেলে দেওয়া কাগজ ও আট পেপার কিনে মাসখানেক আগে তৈরি শুরু করলেন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির। নিজে এই মন্দির চোখেও দেখেন নি। অনলাইনে ছবি দেখে মন্দির তৈরি শুরু করেন। নিখুঁতভাবে স্কেচ পেন দিয়ে ডিজাইনও করেছেন। কাজ শেষ হতেই অবাক সকলে। বানিয়ে ফেললেন চার ফুট উচ্চতার কাগজের দক্ষিণেশ্বরের মন্দির। ছবি দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি কাগজ কাটিং করে বানানো। শুধু মন্দির নয়। এরপর কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের মডেল ও বানিয়েছেন কাগজেই।
পুরনো কাগজের পাখা, খেলনা, কাগজের পাখা, নৌকা বা কাগজের রকেট আবার ফিরে আসুক চাইছেন স্কুল শিক্ষক তপন দাস। তাই এই ধরনের মডেল তৈরি করে বিভিন্ন স্কুলের মিউজিয়ামে দিতে চান তিনি। যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পুরনো দিনের এই খেলনা গুলির স্বচক্ষে দেখতে পায়। এছাড়াও ছাত্রদের সামনে ইতিহাসকে তুলে ধরতে যে কোন প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনের মডেল কোন স্কুল চাইলে তাও করে দিতে রাজি তিনি।